কালীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ”তাঁত শিল্পকে বাচাঁলে-বাঁচবে অর্ধলক্ষ মানুষ”
মুজিবুর রহমান :
গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌর ৬,৭ নং ওয়ার্ডে ছোট বড় শতাধীক তোয়লে উৎপাদন কারখানা রয়েছে। সেখানে কয়েকটি স্তরের শ্রমিক পরিবারের সংক্ষা অগনিত প্রায়, তার পরিবারে স্ত্রী সন্তান ও বাবা-মা-সহ প্রতিটি পরিবারের সদস্য সংক্ষা ১০/১৫ জন। আবার ছেলে মেয়েদের স্কুলে পড়াতে খরচের হিমসিশ খেতে হয় তাদের ” পান আনতে পান্তা ফুরয় অবস্থা”। ওই সব শ্রমিকের সাংসারিক সমস্ত খরচ আসে ওই তোয়ালে বা পাওয়ার লুম কারখানা থেকে। আবার অনেক বেকারদের দৈনিক ঢাকা শহর বা ট্রেন বাসে ফেরী করে রুমাল আকৃতির তোয়ালে বিক্রয়কারীর সংক্ষাও কম নয়। সন্ধ্যা হলে তাদের বাড়িতে ফিরে সংসারের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়। পকেটে টাকা আছে বলে দোকান দারদের দু পয়সা ইনকাম হচ্ছে। এলাকয় চুরি বা ছিনতাই নাই বলেই চলে।
প্রতিটি কারখানায় সুতো গাইড ক্রয় করে বাড়িতে আনা থেকে সুরু হয় প্রথমত সুতো ধোলাই, রং করা, সুতো সুকানো, রিলে সুতো ভরা, তোয়ালী তৈরী, বর্ডার সেলানো, প্যাকেট করে বাজার জাতের প্রস্তুতি নেয়া, খুচরা বিক্রেতাদের দেয়া, দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলায় বাজরের পাইকারদের কাছে পৌছানোর পর তাদের মুনুফা হাতে আসে। তার পর ওই টাকা থেকে মুজুরদের টাকা পরিশোধ করতে হয়। সেই রোজগারে সর্বনাশ ডেকে আনছে কালীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। তাদের খাম খেয়ালীপনার কারনে কালীগঞ্জ ৬,৭ নং ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার বা লুকোচুরির খেলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সামান্য বৃষ্টি হলে বা বাতাস হলে সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার লোডের কারনে প্রায়ই লাইন সাড ডাউন করে বলেন গ্রীড থেকে বন্ধ করা হয়েছে। তারা দায় এড়াতে চেষ্ঠা করে।
তাদের এ ধরনের কাজের ফলে কারখানার মটর বদ্ধ তো কারখানা বদ্ধ সেই, রেস চলে যায় শ্রমিকের বাড়িতে রান্নাঘড়ে হাড়িতে। বৃহৎ নোয়াপাড়া পিক ফিডারের সাথে সংযুক্ত করে অবহেলা করা হচ্ছে তাঁত সম্প্রদায়কে। বর্তমানে তাদের উৎপাদিত পণ্য কোটা ব্রকারদের মাধ্যমে রফতানী করে বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করছে। অর্জন করায় দেশকে আজ উন্নত দেশে রুপান্তরের সহযোগীতা করছে। কিন্ত বারংবার দুইটি ওয়ার্ডকে কালীগঞ্জ সদরের সাথে সম্পৃক্ত করার কথা বলে একটি চক্র তাতীতের নিকট থেকে লাখ টাকা তুলে ছলচাতুরী করে টাকা সংগ্রহ করে তাদের পরিশ্রমের টাকা আত্ব:সাধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি কালীগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মেহে আফরোজ চুমকি এমপির দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে তাঁতসমাজ পরিবারকে বাচাঁতে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছে স্থানীয়রা।