কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বাগদীরটেক এ দশম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী কে অপহরণের ৩ দিন পর র্যাব উদ্ধার করে
কালীগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
গতকাল সোমবার ২ জনকে আসামীকরে কালীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ উদ্ধার করতে না পারায় ২ দিন পর র্যাব ঘোড়াশাল এলাকার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশুকন্যা সহ অপহরনের প্রধান সহকারী ঘোড়াশাল এলাকার বুরুজের ছেলে শরিফকে আটক করে । পরের দিন আদালকত প্রেরণ করা হলে আদালত মেয়েটিকে পিতার হেফাজতে দেন। এদিকে বিভিন্ন নেতৃবিন্দ ধরে মামলা প্রত্যাহারের হুমদি দেয়া হচ্ছে বলে বাদী অভিযোগ করেছেন।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, বাগদীর টেক গ্রামের আব্দুল বাতেনের দশম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে প্রতিদিন এক কিলোমিটার দুরে পড়তে যেত। তার আসা যাবার সময পথিমধ্যে একা পেয়ে চৈতরপাড়া গ্রামের মোমেন মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া ও মৃত কমল মিয়ার ছেলে মোমেন অশালীন প্রস্তাব সহ টিটকারি ও বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করতো। ছাত্রী বাড়িতে ফিরে এসে তার বাবার কাছে বিষয়টি জানায়। পরের দিন ছাত্রীর পিতা বখাটেদের বাড়ীতে গেলে ২ নং আসামী ছাত্রীর পিতাকে নানা ধরনের গালিগালাজ করে এই বলে হুমকি দেয় যে, এ বিষয়ে কাউকে কিছু বল্লে তোর মেয়েকে জীবনের মতো শেষ করে দিব, এসিড মেরে মুখ ঝলসে দিব, তুলে নিয়ে গায়েব করে দিব ।
গত ৫ জুলাই সকাল১১ টা ১০ শিশু শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে কালিগঞ্জ থানা ২ জনকে আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়!
এ বিষয়ে অভিযোগটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই শামীমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান ভিকটিম উদ্ধার করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পরের দিন দুপুরে শরিফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম সহ শরিফকে আটক করে জেল হাজদত প্রেরণ করা হয়।