সিলেট বনায়ন প্রকল্প ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কোটি কোটি টাকার লোপাটের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এস এম রাজু,গোয়াইনঘাট সিলেট।
সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে বনের গাছ কেটে পাচার, এলছির ভাঙ্গা পাথর রাখার ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরীর প্লট বিতরণ সামাজিক বনায়নের ভিতরে আবাসিক স্থাপনা নির্মাণ,অবৈধভাবে সরকারী ভুমিতে পুকুর খননসহ নানা পন্থায় কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে নানা অভিযোগ স্থানীয়দের। এদিকে পরিবেশ ধ্বংশ কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন প্রশাসন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই সিলেটের গোয়াইনঘাটের সোনাটিলা,মোহাম্মদপুর,কালীনগর,শান্তিনগরে বনবিভাগের জায়গা দখল করে বসানো হচ্ছে স্টোনক্রাশার মেশিন। ক্রাশারমেশিনের কালো ধুয়ায় দুষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বেদখল হচ্ছে বন বিভাগের শত হেক্টর সরকারী ভুমি উজার করা হচ্ছে সবুজ বন।স্থানীয়দের অভিযোগ বন কর্মকর্তার নের্তৃত্বে নীতিমালার তোয়াক্কা না করে সরকারী বন বিভাগের ভুমি হরিলুট করে স্টোন ক্রাশারমেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। এসব ক্রাশারমেশিন থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করছে বন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। যার কারণে দিনের পর দিন বেদখল হচ্ছে সরকারী ভুমি,উজার হচ্ছে সামাজিক বনায়ন সংরক্ষিত বনের জায়গায় কোন আবাসিক কিংবা বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরীর কোন অনুমতি না থাকলেও জাফলংয়ের বন কর্মকর্তাদের নিজেদের বানানো নিয়মেই বেশী চলে এখানে । এসব ছাড়াও আছে সংরক্ষিত বনের জায়গায় এলছির ভাঙ্গা পাথর রাখার জন্য অলিখিত লিজ দেওয়া এবং সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে উজার করার মত দুর্নীতি। অভিযোগ আছে ভুমিখেকু চক্রের সদস্যদের সাথে আতাত করে বনের জমিতে যত্রতত্র ক্রাশার মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি বন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। আনুষ্ঠিানিক ভাবে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে না চাইলেও ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.সাদ উদ্দিন। জাফলংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় কার্যকারী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তাহমিলুর রহমান । সামাজিক বনায়নসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেক ভাল কাজের জন্য বনবিভাগ প্রশংসিত হলেও জাফলংয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করছে এমনটাই বলছেন স্থানীয়রা।জাফলংয়ের বন বিভাগের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে সরকারী ভাবে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী স্থানীয়দের।