নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: অর্থনৈতিক অচলাবস্থায় তুমুল গণবিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত কোনো নেতা বাংলাদেশে আশ্রয় চাননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শনিবার (১৪ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত নেতাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, আমাদের কাছে কেউ আশ্রয় চাননি। এগুলো আমরা শুনিনি। এগুলো মিডিয়ার খবর। আর আমি যেটি মিডিয়াতে দেখেছি, তাদের যারা সরকারে ছিলেন তারা বলছেন; তারা দেশেই থাকবেন। নয়া দিল্লি থেকে একটি রিপোর্ট এসেছে, তারা বলেছে যে ভারতে শ্রীলঙ্কার নেতারা যাননি।
শ্রীলঙ্কা নিয়ে ঢাকার অবস্থান প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, কিছু কিছু পণ্ডিত প্রায়ই আমাদের হুকুম দেন আর আমাদের সতর্ক করেন যে, শ্রীলঙ্কার মতো যাতে বাংলাদেশ না হয়। সতর্ক করা ভালো। কিন্তু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের তুলনা হয় না। শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা ২ কোটি ১০ লাখ আর বাংলাদেশের ১৭ কোটি। বাংলাদেশের রপ্তানির সংখ্যা অনেক। আর শ্রীলঙ্কার রপ্তানি অল্প। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স করোনার সময়েও ২৫ বিলিয়ন। শ্রীলঙ্কা তার ধারের কাছে নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অধিকাংশ জিনিস স্থানীয়ভাবে তৈরি হয়, বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্য। শ্রীলঙ্কার সবকিছু বাইরে থেকে আনতে হয়। আমাদের ঋণ জিডিপির মাত্র ১৬ থেকে ১৭ শতাংশ। আর শ্রীলঙ্কার অনেক বেশি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো তুলনা হয় না।
আর্থিক অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সম্প্রতি তুমুল গণবিক্ষোভের মুখে মাহিন্দা রাজাপকসের পদত্যাগের পর শ্রীলঙ্কার অনেক রাজনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন—সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অবশ্য ভারত বলছে, এসব তথ্য সঠিক নয়।
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। দায়িত্ব নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী কাজ শুরু করলেও তাকে মেনে নিচ্ছে না বিরোধীরা। তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।