সাইফুল ইসলাম : লোহাগাড়া,চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আদালত ও বিচারককে নিয়ে সমালোচনাকারী লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫) এর বিরুদ্ধে এবার ডাকাতির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন চরম্বা তেলিবিলা ছিদ্দিক আহমদ এর স্ত্রী জাহান আরা বেগম নামের এক নারী।
একই অভিযোগে আরো ৬ জনকে বিবাদী করা হয়। ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কৌশিক খন্দকার মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে আগামী ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন- উপজেলার চরম্বা কালোয়ার পাড়া এলাকার মো. রাশেদ, ওয়াহিদ, মো. জাফর, জাহাঙ্গীর, ইব্রাহিম ও জিয়াবুল।
মামলার এজাহারে প্রকাশ, গত ১৩ এপ্রিল চরম্বা খালেকের দোকানের সামনে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাদীনির ছেলে মো. রিফাত এর সাথে মামলার আসামী ইব্রাহিম সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সৃষ্ট বিরোধ চরম্বা ইউপি চেয়ারমান মাওলানা হেলাল উদ্দিন আমার ছেলেকে ৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরনে মীমাংসা করেন। ৫ হাজার টাকা পরিশোধ ও করেন। চেয়ারম্যানের উষ্কানি ও নির্বাচনী প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিশোধ নেওয়ার কূ-মানসে পরিকল্পিত ভাবে অন্যান্য বিবাদীরা গত ২২ এপ্রিল রাত ১০ টায় বাদীর বসত বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র, দা, কিরিচ, হকিস্টিক ও বন্দুক নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।
এসময় একটি মোটরমসাইকেল, একটি স্বর্ণের আংটি, চেইন ও কানের দুল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। চলে যাবার সময় বসতবাড়ির বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করেন। জাহানার বেগম জানান, চরম্বা ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিনের নির্দেশে আমার বাড়িতে হামলা ও ডাকাতি করে। এবং যাওয়ার সময় বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে চলে যায়। আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মাওলানা হেলাল উদ্দিন এর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন বিচার করি নাই।
কারো কাছে ক্ষতিপূরণও আদায় করি নাই। আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে কেন ডাকাতি করতে যাব। উল্লেখ্য, আদালত অবমামনায় গত ২ মার্চ ক্ষমা প্রার্থনা করলে ৩ মার্চ শুনানীর ধার্য্য তারিখে আদালক ক্ষমা করেন। একটি মাহফিলে বিচারক ও আদালতকে নিয়ে কূ-রুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়া গত ১০ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে আবারো ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরিবর্তি ধার্য্য তারিখে দীর্ঘ শুনানীর পর আদালত ক্ষমা করেন।