প্রাণ.আর.এফ,এলের কর্মীকে তুলেনিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালীগঞ্জ পৌর মুলগাঁও এলাকায় প্রাণ আরএফএলের কর্মীকে জোরকরে তুলেনিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে, থানা পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকায় ধর্ষন ও চাঁদাবজরা আরো সক্রীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রান.আর.এফ এলের মহিলা কর্মীও স্বজনেরা।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে বিক্টিম ভৈরব থানাধীন কিশোরগঞ্জ এর বাদশা বিল গ্রামের শান্তা বেগম কাউন্সিলরের নিকট বিচার দিয়ে বলেন, শনিবার রাত ন’টার দিকে তার বন্ধু সুমনকে নিয়ে তারই এক আত্বীয়র বাড়িতে যায়। ফিরে আসার সময় জাল্লা পাড়া এলাকার সগিরের নেতৃত্বে বখাটে তাদের পথরোধকরে অসত উদ্দেশ্যে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুমনকে একা রেখে শান্তাকে পাশের ঘড়ে নিয়ে আটকে রাখে। শান্তা জানায় তার মুখোস খুলতে বলে তার হাত ধরে বলে আমরা যা বলবো তা করতে হবে, তখন শান্তা রাজি হয়। তাকে শ্লীতাহানী করে ধর্ষনের চেষ্টা করে, সুমনের নিকট ২০ হাজার টাকার দাবী করে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মুলগাঁও জাল্লা পাড়া এক পরিত্যাক্ত বাড়িতে।
সংবাদ পেয়ে গতাকাল সোমবার সকালে কালীগঞ্জ থানার এস.আই আব্দুল ছালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাবাদের পর সুমন ও ভিক্টিমকে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় কাউন্সিল আমির হোসেন খাঁ বলেন, আমাকে সকালে এসে বিচার দিয়েছে যে, বেশ কয়েকজনে মিলে তাদের আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসছিল আমকে ফোন করে জানতে চাইলে, আমি বলেছি মেয়েটি জানিয়েছে তাকে ধর্ষণ করেছে। পরে পুলিশ তাদের দু’জনকে থানায় নিয়েগেছে।
এ বিষয়ে এস.আই আব্দুল ছালামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, মেয়েটি বলেছে তাকে ধর্ষণ করা হয় নাই। আর যদি ধর্ষনের মামলা নেই তাহলে সুমন ছেলেটি ১নং আসামী হবে।
তবে আটকে রেখে ২০ হাজার টাকা চাঁদার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় থানায় মুচলেকা রেখে থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
এস আই সামাদের রহস্যজনক ভুমিকায় ধর্ষন ও চাঁদাবজরা আরো সক্রীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয় প্রান.আর.এফ এলের মহিলা কর্মীও স্বজনেরা। তারা বলেন যে, ইতিমধ্যে রাস্তাঘাটে একাধীক ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে, বিচার না হওয়ায় আগামীতে তারা আরো নিরাপত্তাহীনতার ঝুকি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।