পিটারকে অসামাজিক দোষারুপ করে মঠবাড়ি কবরস্থানে মাটি না দিয়ে অন্যত্র মাটিদেয়ার কারনে অনেক যুদ্ধের বিনিময়ে জয় পেলেও দেখে যেতে পানে নাই পারুল। বুকভরা দু:খ নিয়ে স্বামীর অধিকার যুদ্ধে জয়ের মালা না পরেই ধর্মগুরুর কর্মকান্ডে বিমুখ অভিমানে চলেগেলেন না ফেরার দেশে। বাদ্যশিল্পী গোপাল পিটার রোজারিও’র মৃত্যুর ছাব্বিশ দিনের মাথায় ভোর রাতে মৃত্যু বরণ করলেন তার স্ত্রী পারুল। দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। তাকে মাটি দেওয়া হচ্ছে তার নিজ ধর্মপল্লীর (মঠবাড়ী ধর্মপল্লী) কবরস্থানে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো বিগত ২৮ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে বাদ্যশিল্পী গোপাল পিটারের মৃত্যু হলে পর তার ও তার ছেলের বিরুদ্ধে পাপাচার ও অসামাজিকতার অভিযোগ এনে গোপালকে কবরস্থ করা হয়েছে পুরান ঢাকার ওয়ারিতে। ধর্মের নামে অধর্ম এবং কতিপয় লোকের অমানবিক আচরনের শিকার হয়েছে গোপাল পরিবার। ধর্মের নামে অধর্ম এবং অনাকাঙ্খিত ও অমানবিক এই আচরণগুলো সমাজ থেকে চিরতরে দূরীভূত হোক। দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে দোষররাও ঠিক হবে না। সৃষ্টিকর্তা তাদের বিবেকে জাগ্রত করো মানবিক বোধ-মানবতাবোধ।