কালীগঞ্জে ১৬ টি মামলায় জরিমানা ও ভিক্ষুক দূস্তদের মাঝে মাস্ক বিতরণ, সকাল-দুপুর মোবাইল কোর্ট
মুজিবুর রহমান :
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে জুন-জুলাই মাসে সর্বোচ্চ চূড়ায় (পিকটাইম) পৌঁছায়। ওই সময়ে একদিনে ৪ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল ৫০-৬০ জন। করোনার দ্বিতীয় টেউ চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হয়। এরপর নতুন রোগী বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে মৃত্যুও। গত এপ্রিলে মৃত্যু অনেক বেড়ে যায়। সরকার ইতিমধ্যে আবারো লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি করেছেন।
সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সংক্রামন প্রতিরোধ ও জন সচেতনায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শিবলী সাদিক। আজ সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২:০০ টা এবং বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬:৩০টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে আনসার ব্যাটেলিয়ন এর সহযোগীতায় কালীগঞ্জ বাজার, হামীম গ্রুপ কোম্পানি (মসলিন কটন মিল), কাপাসিয়া মোড়, বক্তারপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর বাজার, ব্রাহ্মণগাঁও এলাকা, নাওয়ানে মোড়, মাঝুখান বাজার, ফুলদী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করার নিমিত্তে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
আইন অমান্য এবং অযথা রাস্তায় ঘোড়াঘুড়ি করায় মোবাইল অভিযান অভিযানকালে ১৬ টি মামলায় সর্বমোট ২,৪০০/-( দুই হাজার চারশত) টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যদিকে মানবতার বিষয়টি লক্ষরেখে দুস্থ রিকশাওয়ালা, চা বিক্রেতা ও ভিক্ষুকদেরকে লকডাউন মেনে ঘরে অবস্থানে উৎসাহিত করেন এবং মাস্ক বিতরণ পূর্বক করোনা সংক্রামন সংক্রান্ত বিষয়টি বুঝিয়ে বাড়িতে অবস্থানের জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।