কালীগঞ্জে স্থলচর শামুকের ছড়াছড়ি!
মুজিবুর রহমান :
গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় স্থলচর শামুকের দল দেখা যায়। তারা নিজেদের ইচ্ছায় বিভিন্ন দেয়াল টিনের বেড়ায় বা গাছে হাটতে দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে অনেকে এটাকে শামুক বল্লেও শহরে অনেকে এটাকে তেমন চেনেনা।
এই তীয় শামুক শুঁড় উঁচিয়ে ধীর গতিতে সামনে এগোয়। অনেকে রাস্তায় শামুককে হাটতে দেখে নিজেরাও কিছুটা বিস্মিত হয়।
জানা যায়, শামুক হচ্ছে মোলাস্কা ফাইলামের গ্যাস্ট্রোপোডা শ্রেণির প্রায় সব সদস্যের সাধারণ নাম। এরা নরমদেহী ও প্রাপ্তবয়স্ক শামুকের দেহ একটি প্যাঁচানো খোলকে আবৃত থাকে। সাধারণত শামুক বলতে স্থলচর, সামুদ্রিক ও স্বাদুজলের শামুককে বোঝায়।
বেশিরভাগ শামুকই এপিথেলীয় সিলিয়া দ্বারা আবৃত পেশল পায়ের সাহায্যে পিছলে চলে। এই পা মিউকাসের সাহায্যে পিচ্ছিল হয়ে থাকে। পায়ের পেশীতে পরপর ঘন ঘন সঙ্কোচন ঘটিয়ে শামুক চলাচল করে। শামুকের চলার গতি অত্যন্ত ধীর। এই মিউকাস ধারালো বা তীক্ষ্ণ বস্তুর আঘাত থেকে বাঁচতেও সাহায্য করে। এজন্য শামুক ধারালো বস্তু যেমন রেজর বা ব্লেডের ওপর দিয়েও চলতে পারে। এতে তাদের দেহ কেটে বা ছিঁড়ে যায় না।
বিভিন্ন প্রজাতির শামুকের আয়ু ভিন্ন ভিন্ন। প্রকৃতিতে আকাটিনিডে শামুক পাঁচ থেকে সাত বছর বাঁচে। আবার হেলিক্স প্রজাতির শামুক বাঁচে দুই থেকে তিন বছর। অ্যাকোয়াটিক অ্যাপল জাতের শামুকের আয়ু মাত্র বছর খানেক।
প্রকৃতিতে থাকা অবস্থায় শামুক নানা রকম খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। স্থলচর শামুক তৃণভোজী। এরা পাতা, গাছের নরম বাকল, ফল, শাক ইত্যাদি খেয়ে থাকে। শামুকের কিছু প্রজাতি শষ্য ও বাগানে গাছের ক্ষতি করে বলে এদের ক্ষতিকারক কীটের দলেও ফেলা যায়। জলজ শামুক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন- প্ল্যাঙ্কটন, অ্যালজি গাছ ও অন্যান্য জলজ আণুবীক্ষণিক জৈব বস্তু খায়।