কালীগঞ্জে মায়ের পছন্দের ছেলে বাদে প্রেমিকার সাথে পলায়ন, ৫ দিন পর কক্সবাজার থেকে উদ্ধার
কালীগঞ্জ(গাজীপুর)প্রতিনিধি ঃ
গত রবিবার গাজীপুরের কালীগঞ্জের বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা গ্রামে মায়ের পছন্দে বিয়ে দিতে চাইলে, ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ছাত্রীর-মা বাদী হয়ে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। ৫ দিন পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান মল্লিক কক্সবাজার থেকে যুগলকে উদ্ধার করে ।
ভাটিরা পশ্চিম পাড়া গ্রামের প্রবাসী লোকমান সরকারের স্ত্রী নুরুন্নাহার লিখিত অভিযোগে মেয়ের বিয়ের কথা গোপন রেখে বলেন, তার কন্য ভাটিরা ইউনিক একাডেমী স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী “আলেয়া (ছদ্বনাম)” স্কুলে যাওয়া আসা পথে ওমর ফারুকের ছেলে সাজ্জাত হোসেন তার পথরোধ করে বিভিন্ন ধরণের কূ-প্রস্তাব দিতো।
গত রবিবার বিকেল ৪টায় মেয়েটি দোকানে যায়, পূর্বথেকে ওৎপেতে থাকা ফুলদী মধ্য পাড়া গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে সাজ্জাত হোসেন তার বন্ধু রাব্বি ও সিয়াব সরকার অজ্ঞাত আরো ২/৩জনের সহযোগীতায় মেয়েটিকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, নাবালিকা মেয়েটির অমতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তার মায়ের ইচ্ছায় ফুলদী বাগমার পাড়ার এলাকার ছোটন বাগমারের পরিবার মেয়েটিকে দেখতে এসে পছন্দ করে। দুপুরে ভোজন শেষে একটি আংটিও পড়িয়ে যায়। রবিবার উভয় পক্ষ গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ সম্পাদনের চেস্ট করে। তারই সূত্র ধরে দুদিন পর গত রবিবার মেয়েটির পছন্দের ছেলে ফুলদী এলাকার সাজ্জাদ হোসেনের সাথে পালিয়ে যায় ।
এ বিষয়ে বাদীকে জিজ্ঞেসা করলে অন্যত্র বিয়ে এবং আংটি পড়ানোর বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিতে পারিনা ? অবশ্যই পারি। আমরা কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগীতায় কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছি, সাথে ৩ অপহরণকারীকেও আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমান মল্লিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এজাহারভুক্ত আসামী সহ মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, শনিবারে মেডিক্যাল হবে ,রবিবারে বিজ্ঞ-আদালতে প্রেরণ করা হবে।