এবার শ্রীপুরে পৌরসভা নির্বাচনকে নিয়ে হামলা
শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতিতে পেশি শক্তিদের রড, হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে প্রতিপক্ষের বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী খান ও গাড়ারণ এলাকার কৃষক দলের নেতা খোরশেদ আলমকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রবিবার হামলার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমগ্র এলাকায় বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। অ্যাডভোকেট কাজী খান বলেন, ‘হাতে পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। পুলিশের গাড়িতে করে আমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় তিনি শ্রীপুর রেলগেটে নির্বাচনী অফিসে ছিলেন। সেখানে বসে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রচারণা নিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী রড, হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে মিছিল সহকারে এসে হামলা করলে তিনিসহ দলের ১৫ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, রেলগেট এলাকায় তাদের মিছিলে প্রথম প্রতিপক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে । এসময় আত্মরক্ষার্থে তারা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এতে তাদের ১০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লা বলেন, ‘বেলা সোয়া ১১টায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এসময় শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে শ্রীপুর চৌরাস্তা থেকে রেলগেটের দিকে নৌকার সমর্থকরা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। মিছিলটি রেলগেট পার হলে ধানের শীষের কর্মী-সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ খবর দলীয় কার্যালয়ে আসলে নেতা-কর্মীরা রেলগেটের দিকে যায়। আমি দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গেলে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে থেকে আমাদেরকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়।’
কালিয়াকৈর-শ্রীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল-মামুন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা হয়নি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। পৌর শহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।