এবার ভুয়া কনের কারাদণ্ড
মুজিবুর রহমান :
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ফাকি দিতে ভুয়া কনে সাজানোর অপরাধে ভুআ কসেকে করাদন্ড দিয়েছে ব্রম্যমান আদালত। কনের বাবা আসল কনেকে সড়িয়ে চালাকির করে এঘটনা ঘটায়।যে, নিকটাত্মীয় এক তালাকপ্রাপ্ত তরুণীকে হাজির করেন কনে সাজিয়ে বসে রাভখন। বিষয়টি টের পেয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করতে গিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে তখন কনের বাবার প্রতারণা বিষয়টি টের পায় । এই প্রতারণা ধরা পড়ার পর কনের বাবাকে সাতদিনের কারাদণ্ড এবং ভুয়া কনেকে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন।আদালত।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকার ওই বিয়ে বাড়িতে । অভিযান চালিয়ে এ দণ্ডাদেশ দেন
দণ্ডিত আব্দুস ছাত্তার। আর ভুয়া কনে এনি আক্তারকে। আরো জানা যায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া মেয়েটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ধরেরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ইউএনও ওই ছাত্রীর বয়স সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন। পরে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী ছাত্রীর তথ্য দেওয়া হয়।
ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রানুয়ারা খাতুন বলেন, পৌরসভার কাগমারা এলাকার গাড়িচালক আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে ধরেরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই বাড়িতে উপস্থিত হই। তখন প্রতারণার আশ্রয় নেন মেয়ের বাবা। কনে সাজিয়ে তালাকপ্রাপ্ত আত্মীয় এনি আক্তারকে সামনে হাজির করেন। এসময় এনি আক্তার তার বিয়ে হচ্ছে বলে দাবি করেন। এনি আক্তারের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার বয়স দেখা যায় ২১ বছর। বিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসার পর আবার বিয়ের আয়োজন শুরু হয়।