মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
ঈদের ছুটি শেষ। কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন।
শুক্রবার (৬ মে) বেলা বাড়ার সঙ্গে বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এ সুযোগে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই লোকাল বাস, মিনিট্রাক, মাইক্রো, থ্রি-হুইলার ও মোটরসাইকেলে বাংলাবাজার ঘাটে আসছেন যাত্রীরা। পরে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। ঘাটে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে। এছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল পাড় হচ্ছে ফেরিতে। বাংলাবাজার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটে মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে।
ঈদ শেষে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। এই রুটে ছয়টি ফেরি, ৮৬টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে। ঘাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাবসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
নড়াইল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা এক যাত্রী জানান, স্পিডবোটে ১৫০ টাকার ভাড়া ১৮০ থেকে দুইশো পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। বরিশালের অপর এক যাত্রী জানান, বরিশাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটের ভাড়া দুইশো টাকা। কিন্তু ঘাটে আসতে সাড়ে তিনশো থেকে চারশো পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে।
ভাড়া বেশি নেওয়ার বিষয়ে একটি পরিবহনের সুপারভাইজার সোলায়মান হোসেন বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছি। কোনো বাসের চালক ও সহকারী যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে না। ঢাকা থেকে খালি গাড়ি নিয়া আসতে হয়। এখন আগের মতো আর যাত্রী হয় না আর যাত্রীরাও এখন অনেক সচেতন।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটি শেষে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকেই যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে এসে জড়ো হচ্ছেন। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার-মাঝিকান্দি রুটে মোট ১০টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।