আমার কৃষ্ণকলি।
দিলীপ গমেজ।
………………………….
জানো কৃষ্ণকলি,
আমার যখন আবার জ্ঞান ফিরল,
ডাক্তার আমায় জিজ্ঞাসা করলেন ,
এইতো সাহেব বাবু এবার নিশ্চিত বাড়ি ফিরবেন,
আমি শুধুই ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিলাম,
আমার কিচ্ছুটি মনে নেই।
তারপর দীর্ঘ এই বার বছর পরে মুক্তি,
মুখে লম্বা কাচা-পাকা দাড়ি,
গোঁফের দাপটে ঠোঁটের পুরো জমিন গেছে ঢেকে,
চোখে কবে ঠিক চশমা উঠেছে জানা নেই,
চোখের ভাঁজে ভাঁজে কিছু একটা ভাসে, তবে খুবই অস্পষ্ট,
শুধু কৃষ্ণকলি নামে কেউ একজন যে ছিল, সেটাই স্পষ্ট।
জানো কৃষ্ণকলি,
ডাক্তার বাবু আজ আমাকে
মস্তিষ্ক বিকৃতির তালিকা থেকে মুক্তি দিয়েছে,
সাথে জানতে চেয়েছে
এখান থেকে মুক্ত হয়ে আমি কার কাছে যাবো?
আমিও সোজা শাপটা তোমার কথাই বলেদিয়েছি,
খুব ভালো করেছি তাই না কৃষ্ণকলি ?
আমি কিন্তু শেষ কথা রাখাটার জায়গাতেই অপেক্ষায় থাকবো,
যদিও জায়গাটির কথা ঠিক মনে পড়ছে না,
তবুও আমাকে যে ঐ শেষ ঠিকানায় যেতেই হবে,
আমি যে কথা রাখতে জানি,
আমাকে যে কথা রাখতেই হবে কৃষ্ণকলি।